Saturday, March 26, 2016

অন্ধকারের পদধ্বনি

অন্ধকারের পদধ্বনি

প্রবাল দাশগুপ্ত

    হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর ২২ এবং ২৩ মার্চ দু দিন ধরে বেনজির হামলা চালাবার জন্যে সেখানে বেআইনিভাবে ফিরে আসা উপাচার্য আপ্পারাও পোডিলে এবং তাঁর সহযোগীদের তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি।
দলিত ছাত্র রোহিত ভেমুলাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়ার গুরুতর অপরাধে যারা আদালতে অভিযুক্ত তাদের অন্যতম এই আপ্পারাও পোডিলে। তাঁর প্রশাসনকে এমনকি কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক পরিদর্শক কমিটিও দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। পোডিলে ছুটি নিয়ে সরে গিয়েছিলেন; তিনি জানতেন, ওই মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক কুমার রূপনওয়াল পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করছেন, সে কমিটির প্রতিবেদন জমা পড়বে এপ্রিলে। লেখাপড়ার আর আইন কানুনের যখন বারোটা বেজে গেছে তখন তিন দফা অভিযোগের জবাব দেওয়ার কী দরকার? অভিযুক্ত ব্যক্তি সদর্পে নিজের গদিতে ফিরে আসতে পারে – তার আগে একটু ভক্ত সহপ্রশাসকের সঙ্গে চক্রান্ত করে নিতে হয়। নিয়মানুযায়ী নিযুক্ত অস্থায়ী উপাচার্যকে অন্ধকারে রাখাটা তো তুচ্ছ ব্যাপার। দিবালোকের চেয়ে উজ্জ্বল ক্যামেরার ফ্ল্যাশে ঝলমলে টেলিভিশনও চক্রান্তে শামিল হয়ে যায় এই বিশেষ ফরমুলার অন্ধকারে। তার পিছনে রাষ্ট্রশক্তির অশুভ মদত থাকায় পুলিশও জুটে যায় আইনকে কলা দেখানোর এই মহাযজ্ঞে যোগ দিতে। জাতের খেলা চলছে জানেন না বুঝি। তেলাঙ্গানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওয়ের ও তাঁর ভেলামা জাতের সঙ্গে কাম্মা জাতের জোট বাঁধার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যে কাম্মা জাতের মানুষ উপাচার্য পোডিলে এবং ওই রাজ্যের প্রভাবশালী টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকবৃন্দ – এবং তেলুগু দেশমের চন্দ্রবাবু নাইডু বা বিজেপির ভেঙ্কাইয়া নাইডুর মতো নেতারা। জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির সঙ্গে বন্ধুত্ব না করলে তেলাঙ্গানার চন্দ্রশেখর রাও কী করেই বা অন্ধ্রপ্রদেশের চন্দ্রবাবু নাইডুর উপর টেক্কা মারবেন? এদিকে লোকেরা খেপে উঠে বিধানসভায় চেঁচামেচি করলে ২৫ তারিখে মুখ্যমন্ত্রী কাম্মাদের সঙ্গে নিজের তফাতের উপর জোর দিতেও বাধ্য হন, কিন্তু মনে তো হচ্ছে এহ বাহ্য, ওই দূরত্ব পরে সুবিধে বুঝে কমাতেও হবে ওঁকে।
এই দাপটের জ্যামিতির ফলেই ২২ মার্চ আপ্পারাও পোডিলে উপাচার্যের সিংহাসনে পুনরভিষিক্ত করার পবিত্র কাজে লাগে সংঘীদের আধ্যাত্মিক পরিচালনাধীন ছাত্র সংগঠন এবিভিপির সহিংস আস্ফালন। ওই ক্যাম্পাসে এবিভিপির সভাপতি বুক ফুলিয়ে টেলিভিশন সাংবাদিককে সাক্ষাৎকার দিয়ে ঘোষণা করে, সব গোলমালের জন্যে নাকি দলিত আর বামপন্থীরাই দায়ী। অপর পক্ষের সঙ্গে কথা বলার কোনও কারণ ওই চ্যানেলের সাংবাদিক কেনই বা দেখতে পাবে। গেট আটকা। অন্য সংবাদমাধ্যমের প্রবেশ নিষেধ, তাছাড়া দোলে তারা অনেকেই মাতোয়ারা। ক্যাম্পাসের ইনটারনেট অকেজো করে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ সর্বত্র মোতায়েন, ছাত্রদের উপর যথেচ্ছ হামলা চালানোর পরোয়ানা পেয়ে তারা দু দিন ধরে ভিন্ন স্বাদের হোলির মাতনে মত্ত। গণিতের অধ্যাপক তথাগত সেনগুপ্ত ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ইয়েসু রত্নম সহ পঁচিশজন ছাত্রকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায় অজানা ঠিকানায়। কয়েক ঘন্টা যারা থানায় থানায় খোঁজ নিচ্ছে তাদের মিথ্যে কথা বলতে থাকে পুলিশ। সামাজিক মিডিয়ায় সেটা ফাঁস হয়ে যাচ্ছে দেখে অবশেষে বুধবার রাত্রে স্বীকার করে যে চের‌্লাপল্লীর কেন্দ্রীয় কারাগারে রেখেছে। দাঙ্গা বাধানো প্রভৃতি নানাবিধ অলীক অভিযোগ সংবলিত নালিশনামা ততক্ষণে প্রস্তুত।
এ তো সবে কলির সন্ধে। কারাগারে পরিণত ওই রুদ্ধদ্বার ক্যাম্পাসে ছাত্ররা যাতে টাকা তুলতে না পারে সেজন্যে তাদের এটিএম কার্ড অচল করে দেওয়া হয়। হস্টেলে হস্টেলে মেস বন্ধ, জল বন্ধ। পরিস্থিতির সামাল দিতে যে ছাত্র মাঠে হাঁড়ি চড়িয়ে রান্না করছে তাকে পুলিশ বেধড়ক প্রহার করে, বর্তমান রচনার মুহূর্তে সে ছাত্রটি হাসপাতালে, অবস্থা আশঙ্কাজনক।

দুদিন এই তাণ্ডব চালিয়ে কীভাবে পার পেয়ে যেতে পারেন প্রমাণ করে নেবার পর কৌরববৃন্দ ২৪ তারিখে ধীরে ধীরে অপচারের ধারা একে একে শিথিল করছেন। যেখানে ১৯৮৯ থেকে ২০০৬ পড়িয়েছি, যে ক্যাম্পাসে লেখাপড়ার কিছু ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সমবেত কাজে যোগ দিয়েছি, সেই হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেহাল দশা দেখে আমার কীরকম লাগছে সেসব অবাস্তব কথা জেনে কী করবেন। কোথাও যা সম্ভব নয় বলে জানতাম তাও দেখতে হল আমার ক্যাম্পাসের বর্তমান বাসিন্দাদের। শুধু ধিক্কার দেবেন না। একটু স্তম্ভিত হতেও পারছেন আশা করি। বিজন ভট্টাচার্যের কণ্ঠে বলা রবীন্দ্রবাক্য স্মরণ করুন ঋত্বিকের ছবি থেকে: ‘রাত কত হল? উত্তর মেলে না।’

Protecting our institutions of integrity

Protecting our institutions of integrity

Probal Dasgupta

        The destruction of civil liberties on 22 and 23 March at the University of Hyderabad, however unprecedented, has to compete for attention with the Brussels attacks, the violence at Ferguson College, Pune, the death of Johan Cruyff, the PDP-BJP coalition in Srinagar, and of course the T20 World Cup. Deadened by the information overload, we find it hard to register that a university administration chooses to deprive students in 14 hostels at a university campus of access to food, water, electricity, banking.
So 28 students and two faculty members get beaten by the police on campus, arrested and hidden from public view for two days, even from their lawyers. So a student, Udaya Bhanu, who tries to help the starving students by cooking, is brutally thrashed for the crime of ‘cooking in a public place’ and hospitalized. So all media, with the exception of Telugu channels politically aligned with Apparao Podile, are denied access. Podile is the prime accused in Rohith Vemula’s suicide and should have been arrested. Podile’s administration was also indicted by the MHRD’s fact-finding committee, and is under scrutiny by the ministry’s one-man commission—Justice Ashok Kumar Roopanwar is expected to submit his report in April. These circumstances make Podile’s “reinstatement” illegal, and he had to return to work under the cloak of darkness and conspiracy.
Fine, but you expect us to be shocked? We’ve seen worse. People in India don’t have rights; authorities don’t follow rules; some sections of the middle class used to be pampered; now they’ve stopped getting special treatment. As the policemen told the students they were thrashing, university students should feel thankful that they can sit around and get these fellowships while the police have to work for their meagre pay, work that includes this bashing up sanctioned by their higher-ups. We must stop whining.
I shall now meet you half-way, dear ‘hard-headed’ reader whose voice I have been mimicking. Here, for your appraisal, is a ‘realistic’ argument against your decision to shrug when the lumpens in high places undermine institutions in general and UoH in particular. UoH is home to an unusual foreign students’ programme called the Study in India Programme. Established in 1998, this flagship programme – long acknowledged to be the best in the country – now hosts a couple of hundred American and European students per year, mostly undergraduates. They get degrees from their home universities. Hyderabad for them is an academic excursion for typically one semester, sometimes two. These students are watching when illegalities are committed, and will convey their disappointment to their folks back home, damaging India’s image in the eyes of the world.
My dear ‘realistic’ reader, please put this on your screen when you imagine that the lumpens that you are tolerating or rooting for can get away with what they are doing thanks to political patronage. I thought you were interested in maximizing this mahaan India’s soft power, or did I get the buzzword wrong?
I turn now to serious interlocutors. Listen, universities are not the only institutions that fortify a democratic society by nurturing specialized enclaves that may look like luxuries to the hasty eye. We agree that the armed forces, the courts, software, banking etc. are similar core institutions. They all need training enclaves, protection from the general world’s naive scrutiny, and the key ability to represent all sections of society. The deterioration of many universities has made many of us forget that universities have the same needs—and more—because they are institutions that build integrity itself. A campus can embody ‘the idea of the university’ only if its teachers, including its leadership, sustain exemplary relationships with each other, with students and with non-academic staff at all times—and if their style of interaction acknowledges the inclusive demographic profile that has emerged in recent years, especially at an iconic university like UoH, and that needs to extend to other core institutions as well.
I am addressing you because the general public has to make this happen. How? Let me give you an analogy. Our cities are dirty. Nobody believed we could have clean metro stations. But our much-maligned urban public has demonstrated its potential in this domain. Keep them clean? Yes we can! All I’m asking is that those of us who care about the health of our nation should stand up and be counted. We must insist on keeping our educational institutions clean even when we unwillingly tolerate the intolerable in those sectors of our public life where we don’t yet know how to stop it. This is a deeper imperative than civil or human rights, which are essential everywhere.
Only if we push for this deeper demand will our institutions of integrity survive. One way to articulate its spirit is to campaign against the usurpation of the term ‘Education’ by ‘Human Resource Development’. That particular surrender to economism was a giant step backwards that has led to the evils now unfolding. We need civil rights in general; but at our educational institutions, designed to nurture integrity in students, teachers, especially their leadership, must exemplify it themselves. If instead students are attacked for exercising their integrity, we plunge into unimaginable darkness.


(The author taught linguistics at the University of Hyderabad for over two decades and is currently affiliated to the Indian Statistical Institute, Kolkata)

Saturday, March 5, 2016

The sentence as freedom

[This was presented at the Seminar on Bhartṛhari and Wittgenstein, Sahitya Akademi, Dec 1994, and published in its proceedings volume. Those of us who root for approaches to ancient Indian writings that are in tune with the dispensation now in power are hereby invited to respond to my intervention as critically as they wish.]

0. Only a sūtra is possible as a starting point. Middleman: a Saussure who says (roughly) word-signs are unfree (socially given) expressions that speakers freely combine into sentence-chains, ”free expressions”, read in the light of K.C. Bhattacharya’s free expression The Subject as Freedom.

1. For Bhartṛhari, it is in the sentence that words join forces to sparkle in the vākya-sphoṭa spark. Such sparkling partakes of the nityatā ‘invariance’ of śabda ‘Shabda’. This nityatā is free from the contingent mortality of this or that concrete embodiment. Partaking of such freedom sets us free. Only so can we post-Saussureans re-read Bhartṛhari’s reading of tradition’s Sphoṭa. Wittgenstein helps us unpack such freedom.

2. Wittgenstein facing the sentence (young Wittgenstein facing the pictorial sentence and mature Wittgenstein facing the active sentence verging on Austinian and other pragmatics – the young Wittgenstein of semantics and the mature Wittgenstein of pragmatics, to point to the unregenerate tangential derivatives of his undivided enterprise) seeks a nonsubjective orientation for sentencing. He wants Sentence not to stay shackled under Speaker’s illocutionary Ego. He refuses Ego’s proprietary rights over meaning/ validity. He states this refusal as “Wittgenstein denies the (relevant kind of) autonomy of mind”, thus seeking to free meaning from the web of personal desire.

3. As intertextual readers, our project is to steep our Wittgenstein in our Bhartṛhari. The content of a text, then, is not what it contains; privacy is proprietary; no essences please, we’re texts. Rather, a text’s content is that nitya detextual-adtextual flow which brings into play neither subject-matter or referent, nor speaker, nor speech act/ acts/ drama, but flowing memorability, availability, producibility. Content is what carries over in retellings that we visualize in the light of an invariance-maximizing Translation which we know is counterfactual.

4. It is easiest to steep our Wittgenstein in our Bhartṛhari if we aesthetically reground both. Start at Wittgenstein’s spiel (as language game, and as dramatic mature recasting of young Wittgenstein’s bild); recast play as acting, as theatre; move to the rasa of apprehension of drama-content via spark as catharsis giving access to the yathārtha ‘real’ (invoked in the “yathārthaṃ jñānaṃ” definition of pramā). These moves work only if Wittgenstein and Bhartṛhari are both read as raising the question of content against a background of yathārtha as sustainable reality. They use varying reality-criteria, which add up. Young Wittgenstein’s criterion stresses truth. Mature Wittgenstein’s criterion seeks the complete rasa of actual action (i.e.: What cannot be appropriately said in a visualizable context cannot signify at all). Even young Wittgenstein’s truth was relative to a larger living. Bhartṛhari’s criterion for reality, the brahman as āsvādya ‘tastable’ rasa, goes well with all this.

5. Bhartṛhari does, unlike Wittgenstein, assume a Self and the appearance of essences in Self’s inwardness. But Bhartṛhari’s I is a non-proprietary I, siddha in its capacity for valid judgment and taste. Wittgenstein cannot take that route. The mind his times have to offer is a merely instrumental immature I, eager to own, to annex, to exercise intellectual property rights, to profit. Hence Wittgenstein’s no-mind path to public validity, like Buddhism’s no-self path to knowledge/pramā (pramā is neutral between knowledge-of-truth and apprehension-of-rasa). Can our period earn its way back to the visualizability of a Bhartṛhari-Self?

6. Proposed formal procedure for a Bhartṛhari-steeped rereading of Wittgenstein: we postulate a mind in a state of partial power tempered by active abdication i.e. systematic-but-partial renunciation of power in order to welcome the truly-now. One opens up completely to the truly-now in the moment of instinctively moving away from the ways of the dead system, reaching for a truth committed to the moment and to its dramatis personae, a truth that gives meaning.

7. The Popper cycle of falsification and theory revision, though in its neatness it exemplarily instantiates active abdication and may be useful as a pedagogic aid to readers who otherwise find this concept obscure, is too neat to be a seriously usable prototype. What we can retain from it is the idea that the continual enlarging of the inductive base forces revisions and that to revise is to accept at least some measure of defeat. One non-neat prototype for active abdication is chatting, as in exchanging news. What’s New? Only a new item can be perceived as knowledge. Only in the context of new-activation of knowledge as learning-teaching can cognition continue to be available to its locus and thus recharge itself as yathārtha, real cognition. The teacher in such a prototypical example clearly does not own the teaching. Nor does the teacher’s or parent’s generation own the learner’s or child’s generation. The basic learning scene is that new people learn from the total context, which includes teachers quite saliently, but obviously they do not learn from humans (or animate beings) alone. This is how real learning takes place. Now, it is only what real learning shall reassemble that counts as a structure that is sustainable through transmission, i.e. valid. To teach is to show what is valid (recall the special resonances of “show” in Wittgenstein on saying vs showing). The context of learning is also the context of re-seeing. Every valid seeing has to also re-see; hence active abdication as an essential feature of a publicly accountable, non-proprietary mind. This is where the mind learns how to suspend its ego-quality of the thirst for victory, for power, for scoring points.

8. Bhartṛhari and Wittgenstein both want a language whose meanings as validities are independent of intention-as-desire at a personal level. Their sphoṭa responds to the call of the active impulse (praiti). The intention (abhiprāya) is static. The praiti is dynamic in that it seeks a dṛṣṭi/vision which simultaneously appeals to kāma (primary fun), to artha (secondary dealings at one conscious remove from fun), to dharma (tertiary rules of games and other rule-domains at two conscious removes from fun), and, circularly and cyclically, to dṛṣṭi (called mokṣa insofar as vision sees itself as a zeroary freedom to do an Escher between removes of consciousness/ perception). Thus praiti alone is truly niṣkāma, non-lusting. To seek vision is to overcome property-lust and to be independent of the proprietary mind Wittgenstein distrusts. Wittgenstein smells a rat; only if you get rid of that smell does the Self become Bhartṛhari-available for rasa-tasting right up the point of the brahman-taste, a simple point of cuisine.

9. To return to the last part of 3, freedom as in vision/dṛṣṭi characterizes a true, undistorted flow of content from texts (detextual) and into texts (adtextual). Such freedom transmits, in that it reproduces faithfully, the way creatures breed true, but without reference to any arbitrary cloning faith in contingent devas ‘gods’ or vedas ‘scriptures’ whose haloes wax and wane. The brahman one wants to taste is the invariance of authentic self-transmitting life, textually manifested as handing-down/ transmission/ tradition through the full ambience of performing arts holding up the mere word; the brahman has nothing to do with a clutching fundamentalism. Only when you taste such a brahman do you perceive its reality. Those who lack the taste have the equivalent option, Buddhist mode, of a rigorous switching off of (denial of serious reality to) certain contingent personal desires which oversituate content and thus restrict the flow. But on neither reading should one hypostasize the Flow. The point is not to turn the Star Wars egoic cliché “May the Force be with you!” into a pseudo-philosophical greeting that takes the form “May the Flow be with you” and pretends to symbolize the overcoming of ego. Those who seek meaning gradually learn the art of renouncing the specificity of worship.

[21.viii.1994 text, revised 11.x.1994, presented December 1994,
Published in Sibajiban Bhattacharya (ed.) 2002, Word and Sentence: Two Perspectives: Bhartṛhari and Wittgenstein. New Delhi: Sahitya Akademi. 63-66, on the whole superbly proofread, but the sentence “But on neither reading should one hypostasize the Flow.” went missing in that version.]